
সহীহ মুসলিম (১ম-৭ম খন্ড)
সহীহ মুসলিম (১ম-৭ম খন্ড)
সহীহ মুসলিম (১ম-৭ম খন্ড)
ইমামুল হাদিস: পরিচিতি ও পরিক্রমা
ইলমুত্ তাফসির, ইলমুল্ হাদিস,ইলমুল ফিকহ
জীবনকে আল্লাহর পছন্দনীয় শৈলীতে সাজাতে চাইলে কুরআনের পাশাপাশি হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তবে সেই জ্ঞান হতে হবে বিশুদ্ধ–প্রান্তিকতা মুক্ত। শুদ্ধ জ্ঞান যেমন মানুষকে সঠিক পথ দেখায় তেমনি ভুল জ্ঞান কেবল বিপথগামিতাকেই ত্বরান্বিত করে।
আমরা যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলামের জ্ঞান লাভ করতে পারিনি, তারা যখন বাজার থেকে হাদীসের অনুবাদ কিনে পাঠ শুরু করি তখন বেশ গোলমেলে এক অবস্থার সৃষ্টি হয়।
হাদীস পাঠ করে নিজেদের আমল-আখলাক সংশোধনের চেয়ে অন্যদের প্রতি আঙুল তুলতে অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়ি। জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্যই তখন মাঠে মারা যায়।
হাদীসের অনুবাদ পড়ে তার মর্মার্থ বুঝতে হলে প্রথমে আমাদেরকে হাদীস বোঝার মূলনীতিগুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান রাখতে হবে। অন্যথায় সে মূলনীতিহীন জ্ঞান আমাদেরকে ভুল পথে ঠেলে দিতে পারে।
এ বইটি আমাদেরকে সেই জ্ঞান অর্জনে চমৎকারভাবে সাহায্য করবে ইনশা আল্লাহ।
একটা সময় ছিল দাড়ি টুপি পরিহিত ব্যক্তি ধর্মীও বিষয়ে যা-ই বলত, মানুষ নির্দ্বিধায় সত্য ভেবে আমল করতো। যুগ পাল্টেছে, পাঠক সমাজ এখন সচেতন হচ্ছে। কারণ, ইলম চর্চা করতে গিয়ে মানুষ জানছে, ইসলাম দলিল-প্রমাণের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ইসলামী হুকুম-আহকাম থেকে নিয়ে ইসলামী ইতিহাসে অনুমান বা কল্পনার কোনো স্থান নেই। প্রতিটি কথার দালিলিক ভিত্তি রয়েছে। আর তাই সচেতন পাঠক মাত্রই কুরআন হাদীসের রেফারেন্স তালাশ করেন। পাশাপাশি হাদীসের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত হয়ে এরপর আমল করেন।
.
তবে ইসলামের হুকুম আহকাম যেমন দলিল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, তেমনি ইসলামের অন্যান্য অঙ্গনেও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা আছে। এভাবে হাদীস অধ্যায়নেও রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, যাকে আরবীতে বলা হয় ‘উসূলুল হাদীস’ এবং ‘উলূমুল হাদীস’। নীতিমালা এড়িয়ে হাদীসচর্চার প্রয়াসে পদস্খলন অবশ্যম্ভাবী।
হাদীসচর্চার মূলনীতি নিয়ে আরবী ও উর্দূ ভাষায় বিস্তর কাজ রয়েছে। সে তুলনায় বাংলা ভাষায় খুবই সীমিত। জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের বিশিষ্ট মুহাদ্দিস, গবেষোক মাও. আবুল ফাতাহ মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া হাদীস অধ্যয়নের মূলনীতিগুলোকে অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় খুব বিস্তর আলোচনা সমৃদ্ধ রচনা তৈরি করেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইলম পিয়াসু সকল পাঠকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জীবনকে আল্লাহর পছন্দনীয় শৈলীতে সাজাতে চাইলে কুরআনের পাশাপাশি হাদীস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। তবে সেই জ্ঞান হতে হবে বিশুদ্ধ–প্রান্তিকতা মুক্ত। শুদ্ধ জ্ঞান যেমন মানুষকে সঠিক পথ দেখায় তেমনি ভুল জ্ঞান কেবল বিপথগামিতাকেই ত্বরান্বিত করে।
আমরা যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলামের জ্ঞান লাভ করতে পারিনি, তারা যখন বাজার থেকে হাদীসের অনুবাদ কিনে পাঠ শুরু করি তখন বেশ গোলমেলে এক অবস্থার সৃষ্টি হয়।
হাদীস পাঠ করে নিজেদের আমল-আখলাক সংশোধনের চেয়ে অন্যদের প্রতি আঙুল তুলতে অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়ি। জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্যই তখন মাঠে মারা যায়।
হাদীসের অনুবাদ পড়ে তার মর্মার্থ বুঝতে হলে প্রথমে আমাদেরকে হাদীস বোঝার মূলনীতিগুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও জ্ঞান রাখতে হবে। অন্যথায় সে মূলনীতিহীন জ্ঞান আমাদেরকে ভুল পথে ঠেলে দিতে পারে।
এ বইটি আমাদেরকে সেই জ্ঞান অর্জনে চমৎকারভাবে সাহায্য করবে ইনশা আল্লাহ।