
বিয়ের উপকারিতা ও শরয়ী রূপরেখা
বিয়ের উপকারিতা ও শরয়ী রূপরেখা
বিয়ের উপকারিতা ও শরয়ী রূপরেখা
দাম্পত্য জীবনের ওপর বিখ্যাত বই। দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর তিন দশকের কাউন্সেলিংয়ের অভিজ্ঞতার নির্যাস দিয়ে ড. এমারসন এগারিচেস বইটিতে এঁকেছেন স্বামী-স্ত্রীর নীল-গোলাপি সম্পর্কের রসায়নগাঁথা। স্বামী স্ত্রীর সাইকোলজি কীভাবে কাজ করে? সেই সাইকোলজিকে কীভাবে ইতিবাচকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়? –তার একটি চমৎকার পাঠ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। অ্যামাজনে এ বইয়ের রেটিং সংখ্যা অবিশ্বাস্য রকমের ওপরে, তিনহাজার ছাড়িয়ে গেছে রেটিংয়ের সংখ্যা!!
বিবাহেচ্ছু, বিবাহিত সুখী যুগল, অসুখী স্বামী স্ত্রী সবার জন্য বইটি হতে পারে সুখপাঠ্য এবং উপকারী। দাম্পত্য জীবনের অজানা রহস্যাদি জেনে সম্পর্ককে আরও সুখময়, প্রাণবন্ত করে নিতে কাছে রাখতে পারেন বইটি
বিয়ে একটি ধর্মীয় চুক্তি, একটি সামাজিক সম্পর্ক। একে ঘিরে দুজন মানুষ, দুটি পরিবারে কত আকাক্সক্ষা, কত স্বপ্ন! সম্পর্কটিকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাই এই বইটি কেবল বিবাহেচ্ছু, নববিবাহিত বা বিবাহিতাদের জন্য নয়; বরং তাদের বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি, আত্মীয়স্বজনদের জন্যও। এখানে বিয়ের স্বরূপ, দায়িত্বসমূহ, করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়াদি নিয়ে কিছু আলোচনা রয়েছে; যা হয়তো চিন্তার দিগন্তে নতুনত্ব আনতে পারে। রয়েছে কিছু গল্প; যা জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলন।
ডা. শামসুল আরেফীনের পেশা চিকিৎসা। কিন্তু তার রচনা পড়লে মনে হয়, তিনি একজন জাতলেখক, যিনি কিনা অনেককাল লেখালেখি করে জনপ্রিয় ও মনপ্রিয় একজন; এখন যাবজ্জীবনের লব্ধ ও নির্যাসিত অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা লিখছেন পাঠকের সাথে বৈঠকি ভাষায়…
এর আগে তিনি লিখেছিলেন কুররাতু আইয়ুন-১ : যে জীবন জুড়ায় নয়ন। মুড়ি-মুড়কির মতো সে বই পাঠকের প্রিয়তা ও ভালোবাসা পেয়েছিলো; আজও সে ধারা এতটুক ক্ষুণ্ণ হয়নি। অসংখ্য মানুষ পালটে ফেলেছিলো জীবনের অভিমুখ, আজও পাল্টায়। আমরা মুগ্ধচোখে দেখি, রচনার গুণে এ যুগেও ঘর-সংসার এমনকি জীবনেও লাগতে পারে পরকালের সোনারঙ…
সেই ধারাবাহিকতায় লেখকের এবারের রচনা─কুররাতু আইয়ুন-২ : যে জীবন জুড়ায় মনন। এই বই পড়ে পাঠকের মনে হবে—মানুষ ইসলাম জানে না, আমি কী করলাম জীবনে; কোনো দিন কি দাওয়াত দিয়েছি? পড়তে পড়তে মরমে মরে যাবেন আর নতুন উজ্জীবনে এক দাওয়াতি জীবন শুরু হবে আপনার।
নারীর প্রতি জীবনে যত অবহেলা, যা কোনো দিন দেখতে পান না, যাদেরকে কেবল মনে করেন—সমস্যার সার, ভাবেন—ফেতনা, বই পড়তে পড়তে দেখবেন, নারীকে কোনো দিন ভালো তো বাসেনইনি, সুবিচারও করেননি তার অধিকার বিষয়ে; দেখবেন, আল্লাহর আদালতে দাঁড়িয়ে আছেন অপরাধী হয়ে।
জীবনে ঢুকে পড়েছে অশ্লীলতার নীল ছায়া, বের হতে পারছেন না? খ্যাতি আর মোহ যে লজ্জাহীনভাবে জেঁকে ধরেছে, জানেনই না সে কথা? দ্বীনই আসল ও মূল জানেন, তবু নানা প্রয়োজন ও ‘কিছু জিনিসের দরকার আছে’-র পাল্লায় পড়ে দ্বীনের খেয়ানত করতে থাকেন? বাচ্চা বিগড়ে যাচ্ছে, স্ত্রীকে দেখতে পারেন না, বুজুর্গদের জীবন মনে হয় রূপকথা? প্রিয় বন্ধু, জীবনে একটুও সময় নেই? বাসে ঢুলতে ঢুলতে, রিকশার জ্যামে বসে, ‘জরুরি’ ব্রাউজিংয়ের দশ মিনিট বাঁচিয়ে—মোটের ওপর একটু অবসর করে বইটি হাতে নিন; তারপর, বই কথা বলবে।
এই লেখা শুধুমাত্র যারা ইসলাম অনুযায়ী পারিবারিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে জীবনকে সাজাতে চান তাদের জন্য। এখানে ইসলাম মানে একটু বুঝার ব্যাপার আছে। ইসলাম মানে হল— কুরআন এবং কুরআনের ব্যাখ্যা যা নবীজী করেছেন (হাদিস), হাদিসের ব্যাখ্যা যা সাহাবীরা করেছেন (আছার), আছারের ব্যাখ্যা যা তাবেঈরা করেছেন, পূর্ববর্তী উলামাগণ (সালাফ) যার উপর ঐক্যমত পোষণ করেছেন। ইসলামকে বাঁকিয়ে পেঁচিয়ে নিজেদের মনমতো সংজ্ঞায়ন করে সাজিয়ে নিলে সেটা ইসলাম নয়। আল্লাহও যেন খুশি থাকে, আবার শয়তানও যেন নারাজ না হয়— এধরনের ইসলামের সাথে নিঃসম্পর্ক ঘোষণা করছি। মনের মত ব্যাখ্যা যাদের পছন্দ তারা এই বই পড়ে দ্বিমত করা ছাড়া বেশি উপকার পাবেন না।
এখানে সবকিছুই সুন্নাহ সাব্যস্ত, তা কিন্তু নয়। কিছু আছে দলিলসাব্যস্ত, কিছু আছে আলিমগণের নিরীক্ষিত কওল, কিছু আছে কমনসেন্স ও আদব। যদি খটকা লাগে ফিকহীভাবে আস্থাভাজন আলিমের তাহকীক ও পরামর্শ নিবেন। কিতাব যথেষ্ট না, কিতাবের সাথে রিজাল (ব্যক্তি) যুক্ত হলেই ইলম পূর্ণতা পায়। তাই এখানে যা-ই থাকুক, খটকা লাগলে নিজ পছন্দের মানহাজের আলিম থেকে যাচাই করে অনুমোদিত হলে আমল করবেন। ফিকহী বা দীনী যেটুকু শিখেছি পেয়েছি, আপনাদের খিদমতে আরজ করলাম। কারো উপকারে এলে আল্লাহ বান্দাকে সাদাকায়ে জারিয়ার বদলা দিবেন এই আশায় লিখে দিলাম। অভিজ্ঞতালব্ধ ও দীনী ও আদবগত জিনিসগুলোকে মেডিকেল সাইন্সে গুলিয়ে আপনাদের জন্য শরবত বানালাম। মন্দ লাগলে উলামা হযরতগণ তো আছেনই আমাদের সংশোধনে। আলহামদুলিল্লাহ।